প্রভাবশালী প্রেমিকার প্রত‍্যাখ‍্যানে আত্মঘাতী প্রেমিক খন্ডঘোষে

14th January 2020 বর্ধমান
প্রভাবশালী প্রেমিকার প্রত‍্যাখ‍্যানে আত্মঘাতী প্রেমিক খন্ডঘোষে


 

প্রেমিকার বিশ্বাসঘাতকতা ও হুমকির কথা ডাইরির পাতায় লিখে বিষখেয়ে আত্মঘাতী হল  প্রেমিক । মৃতের নাম পবিত্র কুমার ঘোষ (২৬)।তাঁর বাড়ি  পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ থানার দুবরাজহাট গ্রামে। মঙ্গলবার  বর্ধমান  হাসপাতাল পুলিশ মর্গে মৃত যুবকের দেহের ময়নাতদন্ত হয় ।যুবকের মৃত্যুর জন্য তাঁর পরিবার  সদস্যরা মামুলি থেকে  প্রভাবশালী বনে যাওয়া প্রেমিকাকেই দায়ী করেছেন । যদিও  তরুণীর  বক্তব্য,“সব ফালতু কথা । যুবক তাঁর পরিচিত ছিল মাত্র । ”পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর  মামলা রুজু করে  তদন্ত শুরু করেছে । 


পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানাগেছে , সোমবার  রাতে বাড়িতে বিষ খায় যুবক পবিত্র ঘোষ । এদিন সকালে পরিবারের লোকজন দেখেন  পবিত্র ঘরের বিছানায় অচৈতন্য অবস্থায় পড়েরয়েছে ।  তাঁর  মুখ দিয়ে গেঁজলা বের  হচ্ছে। এমনটা দেখার পরেই *পরিবার* সদস্যরা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে  বর্ধমান  মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়েযান । সেখানে কর্তব্যরত  চিকিৎসক যুবককে  মৃত ঘোষনা করেন । এর পরেই  যুবকের পরিবার হাসপাতালে উপস্থিত সংবাদ মাধ্যমের কাছে  প্রেমিকার  বিরুদ্ধে যাবতীয় ক্ষোভ উগরে দেন ।

মৃত যুবকের জ্যেঠতুত  দিদি  মহুয়া ঘোষ বর্ধমান ১ ব্লকের নারী ও শিশু কর্মাধ্যক্ষ । এদিন তিনি সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন , তাঁর ভাই পবিত্র আইটিআই পাশ করেছে  । মহুয়াদেবী বলেন ,“ স্কুল জীবন থেকে  খণ্ডঘোষের শ্যামডাঙার ওই তরুণীর  সঙ্গে তাঁর ভাই পবিত্রর  ভালবাসার সম্পর্ক তৈরি হয়  ।আইটিআই  পাশ করে  ভাই  দিল্লিতে কাজেও  চলে যায় ।  কিন্তু ওই সময়ের মধ্যেই  প্রভাবশালী বনেযাওয়া  প্রেমিকা  ভালকাজ দেখেদেবে বলে জানিয়ে পবিত্রকে  দিল্লি থেকে ফিরে আসতে বলে  ।  প্রেমিকার কথা রাখতে তাঁর ভাই সেখান থেকে  বাড়িতে ফিরে  আসে । এর কিছুদিন পর থেকেই  প্রভাবশালী  প্রেমিকা   পবিত্রর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেদিতে চায় । প্রেমিকা পুলিশ দিয়ে ব্যবস্থা নেবার  হুমকি দেওয়া শুরু করে পবিত্রকে ।  অন্য লোক পাঠিয়েও চলে হুমকি দেওয়া । মহুয়া ঘোষ জানান  , এক দেড় মাস আগে তিনি  এই সবকিছু  জানার পর ওই তরুণীর সঙ্গে  কোনরকম সম্পর্ক না রাখার কথা ভাই পবিত্রকে  বলেছিলেন । কিন্তু ভাই ওই তরুণীকে অসম্ভব  ভালবাসতো  বলে সম্পর্ক ছিন্ন করে দিতে পারেনি । শেষমেষ প্রেমিকার বিশ্বাসঘাতকতা ও হুমকির সবিস্তার ডাইরির পাতায় লিখে ভাই বিষখেয়ে আত্মঘাতী হল ।”একই অভিযোগ করেছেন মৃতর জ্যেঠতুতো ভাই সঞ্জয় ঘোষ । তিনি থানায় অভিযোগ করেছেন বলে দাবি করলেও জেলার পুলিশ কর্তারা জানিয়েছেন  ‘ আমরা কোন অভিযোগ পাইনি ’। যুবকের এই  মর্মান্তিক মৃত্যুতে  শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েছে তাঁর পরিবার পরিজন ও প্রতিবেশীরা ।  

 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।